মহানায়ক উত্তম কুমার সুতরাং তাঁর লিপে গান মানেই দর্শকদের ভালো লাগতে বাধ্য; দেয়া নেয়া সিনেমাতে নায়ক উত্তম কুমার, সিনেমার প্রযোজক ও সংগীত পরিচালক শ্যামল মিত্র। সিনেমার কাহিনি শ্যামল বাবুর নিজের জীবনে থেকে নেয়া ফলে সিনেমাকে ঘিরে আবেগ অনেকটাই বেশি ছিলো। এ সিনেমার বাড়তি একটা আকর্শন বোম্বের তনুজা
ঠিক করা হলো এ সিনেমাতে নায়ক এবং বন্ধুর একটা ডুয়েট গান থাকবে অর্থাৎ সিনেমাতে লিপ মেলাবেন উত্তম কুমার ও তরুণ কুমার। নায়কের গলায় গাইবেন শ্যামল মিত্র কিন্তু বন্ধুর গলায় কে গাইবেন? গানটি একটু রাগ প্রদান হবে কিন্তু গাইবেন কে? এমন সময় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার শ্যামল বাবুকে বললেন আরে তোর বন্ধুর কথা মনে পড়ছে না? মানবের কথা বলছি রে।
মুহুর্তেই ফোন গেলো মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি এলেন গান শুনে জড়িয়ে ধরলেন শ্যামল মিত্র কে বললেন তুই যা সুর করেছিস তাতে আমরা এই গানটার জন্যই বেঁচে থাকবো। কথা এবং সুরের কাগজ পত্র নিয়ে মানবেন্দ্র বাবু চলে গেলেন। সন্ধে বেলায় আবার ফোন মানবেন্দ্র বাবুর কাছ থেকে কিন্তু শ্যামল মিত্র ত বাড়িতে নেই; রাতে ফিরলেন সেই রাতেই মানবেন্দ্র বাবু এলেন শ্যামল মিত্রের বাড়িতে
কি ব্যাপার? জরুরি কিছু? মানবেন্দ্র বাবু একটু কুন্ঠিত হয়ে বললেন - শ্যামল! তুই যেভাবে সারগাম লাগিয়ে গানটা করেছিস সেটা খুব ভালো হয়েছে কিন্তু সময় লেগে যাচ্ছে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড অথচ রেকর্ডিং এর সময় ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। তারপর একটু থেমে বললেন যদি কিছু মনে না করিস সারগাম টাকে একটু ছোট করে ওটা আমি ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই করেছি।
কি করেছিস শুনি? তখন মানবেন্দ্র বাবু সংগে সংগে হারমোনিয়াম টেনে নিজের তৈরি সারগাম সহ গানটা শোনালেন আর শুনেই শ্যামল বাবু মানবেন্দ্র বাবুকে জড়িয়ে ধরলেন বললেন - বিউটিফুল। এটাই থাকবে আর সেটাই থাকলো অরিজিনাল গানে। বাংলার চিরকালীন ডুয়েট গানের লিস্টে এই গানটি ঢুকে গেলো। গানটির নাম ছিলো - দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা এবং এই পোষ্টে এই গানের লিরিক্স শেয়ার করবো