নিম্ন বর্গের মানুষের কথা কি কোন কালে কেউ ভেবেছে? সাধকরা একজোট হয়ে সাধন ভজন করছে, মুখে মুখে সৃষ্টি করছে এমন সব পদ, এমন সুর, এমন ভাব; তার ঢেউ এলিট ক্লাসিকের কাছে পৌছায় না। সাধকরা কবিযোজক প্রার্থক ছিলেন না তাদের সাধন সংগীর, সংগীত বা সাহিত্য হিসেবে ভবিষ্যতে আদৃত হবে এমন ইচ্ছে বা কল্পনা তাদের ছিলো না মোটেও।
বাউল সঙ্গীত তথা কথিত ভদ্র সুশীল সমাজে স্থান পায়, রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। শিক্ষিত সমাজ রবীন্দ্রগানে গগন হরকরার প্রভাবে মুগ্ধ হয়ে খোজ শুরু করেন বাউলের ইতিহাস ভুগলের। উপলব্ধি করেন বাংলার নব জাগরনের রামমোহন রায়ের যে গুরুত্ব, বাংলার লোকমানুষের উৎতকর্ষতায় লালনেরও সেই গুরুত্ব।
সময় গেলে সাধন হবে না (Somoy Gele Sadhan Hobe Na)
গানের লিরিক্স | Song Lyrics 👇
মিছামিছি খেটে মরে
গাছ যদিও হয় বীজের জোরে
ফল ধরে না,
তাতে ফল ধরে না।
সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকিতে তিনের সাধন কেন করলে না।
জানো না মন খালে বিলে
থাকে না মীন জল শুকালে।
কি হবে আর বাঁধাল দিলে, মোহনা শুকনা।
অসময়ে কৃষি করে
মিছামিছি খেটে মরে।
গাছ যদিও হয় বীজের জোরে, ফল ধরে না।
অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়
মহাযোগ সেই দিনে উদয়।
লালন বলে তাহার সময় দণ্ড রয় না।
NOTE: লালনের গান বোঝা অনেক কঠিন। বিশেষ করে আমাদের জন্য যাদের পড়াশোনা নাই, যাদের কাছে লালনের গান পৌঁছেছে বাউল বা ফকিরদের মাধ্যমে নয়, বরং ফরিদা পারভীনের মত লালনগীতির শিল্পীদের মাধ্যমেই। সেই গানগুলোও যখন বিকৃত হয়ে আসে আমাদের কাছে তখন লালনের ভাব বোঝার সাধ্য কই আমাদের?
তিনি হয়তো জেনে থাকবেন, লালন অনুসারীরা লালনের গানের কথাকে কালাম বলেন। উনি জেনে শুনেই বিশ বছরেরও অধিক কাল সময় ধরে এইসব বিকৃতি ঘটিয়ে চলছেন। এজন্য উনার কোন অনুতাপ আছে বলেও শুনিনাই। নিজেকে উনি লালনগীতির "এলিট" শিল্পী বনে গেছেন।