গজলের ভাষা মুলত প্রেম ভিত্তিক হলেও কিছু গানে থাকতো নিবেদন, সম্পর্পণ বা আত্ন-সমালোচনার কথা। নজরুল তার বেশিরভাগ গানেই প্রেম বিষয়ক ভাব প্রকাশ করেছেন। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী নীলিমা সেনের ছাত্রী ছিলেন বাসবী দত্ত। এই সংগীত শিল্পী বাসবী দত্তের লেখা থেকে জানা যায়- কাজী সাহেব একবার দিল্লি বেড়াতে গিয়েছিলো। সেখানে দেখা হয় জমে মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে।
ইমাম সাহেবের গলাটা ছিলো দারুণ মিষ্টি। একদিন তার গলায় এক ফার্সি গজল শুনে অভিভুত হয়েছিলেন নজরুল ইসলাম। গানটা কবিকে এতটাই প্রভাবিত করলো যে, তিনি লিখে ফেললেন বাংলায় গান। বাংলার গানের জগতে এক নতুন ধারার সৃষ্টি হলো বাংলা গজল।
আজকের এই পোষ্টে আমি যে গানটার লিরিক্স শেয়ার করবো সেই গানটাকে বিশেষজ্ঞরা দাবী করেন সেটাই ছিলো নজরুলের প্রথম রচিত বাংলা গজল
🎵 গানের নাম - কে বিদেশী মন উদাসী
🎧 Song Credits:
🎵 গান - Ke Bideshi Mon Udasi
🎬 অ্যালবাম - পদ্মার ঢেউ রে
🔊 শিল্পী - অঞ্জলি মুখার্জী
Ke Bideshi Mon Udasi Song Lyrics 👇
কে বিদেশী মন-উদাসী
বাঁশের বাঁশী বাজাও বনে।
সুর-সোহাগে তন্দ্রা লাগে
কুসুম বাগের গুল-বদনে (x2)
কে বিদেশী মন-উদাসী
ঝিমিয়ে আসে ভোমরা-পাখা
যুথির চোখে আবেশ মাখা
কাতর ঘুমে চাদিমা রাকা
ভোর গগনের দর-দালানে
দর-দালানের ভোর গগনে
কে বিদেশী মন-উদাসী
সহসা জাগি আধেক রাতে
শুনি সে বাঁশী বাজে হিয়াতে
বাহু-সিথানে কেন কে জানে
কাঁদে গো পিয়া বাশীর সনে (x2)
কে বিদেশী মন-উদাসী
বাঁশের বাঁশী বাজাও বনে।
বৃথাই গাথি কথার মালা
লুকাস কবি বুকের জ্বালা
কাঁদে নিরালা বনশীওয়ালা (x2)
তোরি উতালা বিরহি মনে (x2)
কে বিদেশী মন-উদাসী
বাঁশের বাঁশী বাজাও বনে (x3)
NOTE: এই গানটা প্রথম রেকর্ড হয়েছি ১৯৩০ সালে। শিল্পী ছিলেন হরিমতী দেবী। সেই সময়ে আলোড়ন তৈরি করে ছিল এই গানটি। তবে এই গানের কথায় কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়, হরিমতি দেবী গেয়েছিলেন "কে বিদেশি বন-উদাসী" এবং অন্যদিকে অঞ্জলি মুখার্জী গাইলেন "কে বিদেশি মন-উদাসী"
🔊 আমার মতামত - এই গানটি অনেকেই গেয়েছেন, কিন্তু
সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং
অঞ্জলি মুখার্জীর গাওয়া গানটিই যেন আমার কাছে বেশী ভাল লাগে। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন আমাদের জাতীয় কবি ❤️