প্রতিটা মানুষের জীবনেই একজন করে আইডল বা ভক্তির পাত্র অথবা শ্রদ্ধার পাত্র বলে একজন থাকে যাকে সামনে রেখেই মানুষ তাঁর জীবনের লক্ষ্যটা স্থির করে থাকে। শ্যামল মিত্রের জীবনে সেই রকম একজন শ্রদ্ধার পাত্র বা আইডল ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
ব্যাক্তি জীবনে শ্যামল মিত্র চিরকাল হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কে অনুসরণ করে এসেছিলেন। হেমন্ত বাবু সুরকার এবং সংগীত পরিচালক সুতরাং শ্যামল বাবু তিনিও হতে চাইতেন সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। হেমন্ত বাবু সিনেমার প্রযোজক হয়েছে অতএব শ্যামল বাবুও সিন্ধান্ত নিলেন তিনিও সিনেমার প্রযোজক হবেন আবার দেখা গেলো হেমন্ত বাবু ডিস্ট্রিবিউটর হলেন তো শ্যামল মিত্রকেও ডিস্ট্রিবিউটর হতে হবে
সিনেমার বড় ডিস্ট্রিবিউটর হতে গিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জীবনে বিপর্যয় এসেছিলো ঘটনা চক্রে শ্যামল মিত্রের জীবনেও এই একই সমস্যা হয়েছিলো যার জন্যে হেমান্ত বাবুর কাছে তাঁকে বকুনিও খেতে হয়েছিলো। সে সময়ে শ্যামল মিত্র সিদ্ধান্ত নিলেন হিন্দি সিনেমা প্রডিউস করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ছবি প্রডিউস করলেন কিন্তু ছবি করতে গিয়ে বিরাট আর্থিক ক্ষতি হলো শ্যামল মিত্রের ফলে ছবিটা শেষ ও হলো না
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে খবর গেলো তিনি তখন সব শুনে শ্যামল মিত্রকে মারাত্নক বকুনি দিলেন। তিনি বললেন - "তুমি এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছো অথচ তুমি একবারো আমাকে জানালে না! বাংলা আর হিন্দি ছবির জগত সম্পুর্ণ আলাদা" এ কথা শুনে শ্যামল মিত্র একটুও প্রতীবাদ করেন নি। মাথা নিচু করে হেমান্ত মুখোপাধ্যায়ের সমস্থ বকুনিটা হজম করেছিলেন
তবে ভুললে চলবে না এই সিনেমা ই শ্যামল মিত্রকে তাঁর প্রাপ্তির ঘরটা বিরাট ভাবে ভরে দিয়েছিলো এসেছিলো দেয়া নেয়ার হাত ধরে বিরাট সাফল্য আর তাই সেই দেয়া নেয়া সিনেমার একটা গানের লিরিক্স শেয়ার করবো এই পোষ্টের মাধ্যমে...