একটু কঠিন বিষয় কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সলিল চৌধুরী তত্ত্ব এবং বাস্তব দুটু দিয়েই বুঝেছেন এবং অনুভব করেছেন এবং সেই ব্যাপ্তিটা যে কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারীকা পুরো বিষয়াট নাড়িয়ে দিয়েছিলো সেটা বলাই বাহুল্য
শোনা যায় - দক্ষিনে একবার এক মহিলা সবিতা চৌধুরীর হাতটা ধরে অত্যন্ত ইমোশনালি এমন একটা কথা বলেছিলেন যেটা সবিতা চৌধুরীকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। মহিলা বলেছিলেন - "তুমি ওনার ওয়াইফ হও? ওনাকে মারাত্নক কেয়ারে রাখবে। খুব যত্নে রাখবে কারন ওনার হাতে আমাদের গোটা সভ্যতার সুর রয়েছে। ওনার সুরে আমরা বাচি, ওনার সুরে আমরা হাসি, কাদি"
🎧 Song Credits:
শিল্পী - সবিতা চৌধুরী / মান্না দে
O Alor Pathjatri Song Lyrics 👇
ও আলোর পথযাত্রী
এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না
এ বালুর চরে আশার তরণী তোমার যেন বেধো না
ও আলোর পথযাত্র
এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না
এ বালুর চরে আশার তরণী তোমার যেন বেধো না
আমি শ্রান্ত যে, তবু হাল ধরো
আমি রিক্ত যে, সেই সান্ত্বনা
তব ছিন্ন পালে জয় পতাকা তুলে
সূর্য তোরণ দাও হানা
আলোর পথযাত্রী
এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না
এ বালুর চরে আশার তরণী তোমার যেন বেধো না
আহা, বুক ভেঙ্গে ভেঙ্গে পথে ঢেলে শোণিত কণা
কত যুগ ধরে ধরে করেছে তারা সূর্য রচনা
আহা, বুক ভেঙ্গে ভেঙ্গে পথে ঢেলে শোণিত কণা
আর কত দূর ওই মোহনা, এ যে কুয়শা
এই বঞ্চনার দিন পার হলেই পাবে জনসমুদ্রের ঠিকানা
আলোর পথযাত্রী
এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না
🔊 কিছু কথা -“ও আলোর পথ যাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না” – এ গানটিও ১৯৭১ এর যুদ্ধের সুপরিচিত। লেখা ও সূর সলিল বাবু’র। আর এ গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন মান্না দে ও সবিতা চৌধুরী। সলিল চৌধুরীর লেখা এ গানের ১ম প্রকাশ/রেকর্ডঃ ১৯৪৯
১৯৪৩ সালের বাংলা’র দূর্ভিক্ষে মানুষের মৃত্যূর সেই দুঃসময়ের কথা মনে রেখেই এ গানের রচনা। প্রথমে সলিল চৌধুরী নিজেই গেয়েছিলেন। পরে Indian People's Theatre Association একে গন-সংগীত হিসেবে ছড়িতে দেয় বাংলার সীমানায়
🔊 আমার মতামত - এই গানগুলোর ক্ষুধা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম থেকেই যাবে। এমন সৃষ্টির মরন কোন কালেই হবেনা। এই গান শুনলে যে অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না ❤️