কাজী নজরুলের খুব প্রিয় পাত্র ছিলেন গায়ক আব্বাসউদ্দীন আহমদ। একদিন গ্রামোফোন কম্পানির রিহার্সাল রুমে আব্বাসউদ্দীন বসে আছেন সাথে আরো অনেকেই এসেছিলেন। নজরুল তখনো এসে পৌছান নি। তখন সেখানে উপস্থিত সবাই আব্বাসউদ্দীন কে ধরলেন গান শোনানোর জন্য। কি আর করা। তখন আব্বাসউদ্দীন একটা ভাওয়াইয়া গান ধরলেন।
গান শেষ হতেই দেখেন দরজার পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন নজরুল, বললেন- "আহা! কি সুন্দর; কি মিষ্টি সুর। আবার গাও তো!" আব্বাসউদ্দীন আবার গাইলেন। গান শেষ হতেই নজরুল বললেন- "আবার গাও" এভাবে প্রায় ৫/৬ বার একই গান গেয়েছিলেন আব্বাসউদ্দীন আহমদ। গানটি ছিলো -
নদীর নাম সই কচুয়া,
মাছ মারে মাছুয়া
মুই নারী দিচোং ছেকাপোড়া।
এই গানটিকে কবি আত্মস্থ করলেন তারপরে গানের খাতাটা টেনে নিয়ে কবি লিখতে বসলেন। দশ মিনিট পর একটা গান এগিয়ে দিলেন আব্বাসউদ্দীনের দিকে। বললেন- "দ্যাখো তো! তোমার সুরের সাথে আমার এ গান মিলে যায়নি?"
আন্দাজ করুন তো কোন গানের কথা আমি বলছি? সে গান আজো আমাদের খুব প্রিয় গান এবং এই পোষ্টে শেয়ার করবো সেই প্রচলিত ভাওয়াইয়া গানটি থেকে কবি যে গানটা লিখেছিলেন সেটির লিরিক্স।
নদীর নাম সই অঞ্জনা (Nodir Nam Soi Anjona)
🎧 Song Credits:
Nodir Nam Soi Anjona Song Lyrics 👇
নদীর নাম সই অঞ্জনা,
নাচে তীরে খঞ্জনা
পাখি সে নয় নাচে কালো আঁখি
আমি যাব না আর অঞ্জনাতে
জল নিতে সখী লো
আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি
ওই আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি
সেদিন তুলতে গেলাম, দুপুর বেলা
কলমি শাক ঢোলা ঢোলা সই
হল না আর সখী লো শাক তোলা (x2)
আমার মনে পড়িল সখী, ঢলঢল তার চটুল/কাজল আঁখি (x2)
ব্যথায় ভরে উঠল বুকের তলা।
ঘরে ফেরার পথে দেখি,
নীল শালুক/কলমি শাক সুঁদি ও কী ফুটে আছে
ঝিলের গহিন জলে।
আমার অমনি পড়িল মনে
সেই ডাগর আঁখি লো
আমার অমনি পড়িল মনে
সেই ডাগর আঁখি লো
ঝিলের জলে চোখের জলে
হল মাখামাখি
নদীর নাম সই অঞ্জনা
নাচে তীরে খঞ্জনা সই
পাখি সে নয় নাচে কালো আঁখি
আমি যাব না আর অঞ্জনাতে
জল নিতে সখী লো
আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি
ওই আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি
🔊 আমার মতামত - এই গানটি শুনতে অসাধারণ লাগবে যে কারো। এত ভাব মেশানো নজরুল সংগীত।
রুনাজী মানেই চমক! তবে
ফেরদৌস আরা, ইলা বসু এবং
ফেরদৌসী রহমান ও দারুণ গেয়েছেন। সত্যিই অপুর্ব একটি গান। মন ভরে গেল। গানটি চাইলে শুনতে এখানে
ক্লিক করুন ❤️